আজ মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষি খাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি পালন করছে। আয়োজন এর অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপসহকারী কৃষি অফিসার গণ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিশিষ্ট কৃষকগণ। র্যালি শেষে বিশ্ব খাদ্য দিবস এর পটভূমি, মিশন ও ভিশন এবং সেই সাথে ২০৩০ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সফল উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়। সভায় কৃষিকাজের তথা কৃষকের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের স্বীকৃতি এবং সেই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রশাসন এবং কৃষি অধিদপ্তরের একসাথে কাজ করে কৃষকের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
পটভূমি ও গুরুত্ব
বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৮১ সনে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা আর প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১৯৪৫ সনের ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা FAO (Food and Agricultural Organisation) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান, দরিদ্র ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে FAO তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
মানুষ এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে খাদ্যের অধিকার নিয়ে। আর এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে তা বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। তবে খাদ্যের সঙ্গে কৃষির সম্পর্কটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, যদি কৃষিকে বাদ রেখে আমরা খাদ্যের কথা বলি তবে বিষয়টি হবে অযৌক্তিক।
একটি কথা অনস্বীকার্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন হলে দারিদ্র্যবিমোচন হবে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ খাদ্য নিয়ে বেশ সচেষ্ট। খাদ্যাভাবের কারণে সরকার পতনের নজির আমেরিকা মহাদেশের হাইতিতে দেখা গেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে ধান গম ছাড়াও অতিরিক্ত ১ কোটি ৪০ লাখ টন মাছ, মাংস, ডিম, ফল-মূল, শাকসবজি জাতীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এ ভয়াবহ পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রচলিত কৃষি বাদেও আমাদের আরও কিছু করতে হবে। এজন্য শুধু মাঠ ফসলের দিকে তাকিয়ে না থেকে পারিবারিক কৃষির দিকেও নজর দিতে হবে।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৮১ সনে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা আর প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১৯৪৫ সনের ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা FAO (Food and Agricultural Organisation) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান, দরিদ্র ও পুষ্টিহীনতা দূর করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে FAO তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
মানুষ এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে খাদ্যের অধিকার নিয়ে। আর এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে তা বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। তবে খাদ্যের সঙ্গে কৃষির সম্পর্কটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, যদি কৃষিকে বাদ রেখে আমরা খাদ্যের কথা বলি তবে বিষয়টি হবে অযৌক্তিক।
একটি কথা অনস্বীকার্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন হলে দারিদ্র্যবিমোচন হবে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ খাদ্য নিয়ে বেশ সচেষ্ট। খাদ্যাভাবের কারণে সরকার পতনের নজির আমেরিকা মহাদেশের হাইতিতে দেখা গেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে ধান গম ছাড়াও অতিরিক্ত ১ কোটি ৪০ লাখ টন মাছ, মাংস, ডিম, ফল-মূল, শাকসবজি জাতীয় খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এ ভয়াবহ পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যাচ্ছে প্রচলিত কৃষি বাদেও আমাদের আরও কিছু করতে হবে। এজন্য শুধু মাঠ ফসলের দিকে তাকিয়ে না থেকে পারিবারিক কৃষির দিকেও নজর দিতে হবে।
প্রচারেঃ উপজেলা কৃষি অফিস, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
নিবন্ধ কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক ইত্তেফাক, এআইএস ওয়েবসাইট
Comments
Post a Comment