Skip to main content

আলোক ফাঁদ পরিদর্শন ১৪.১০.১৮

আলোক ফাঁদ প্রযুক্তিটি হচ্ছে রাতের বেলায় ক্ষেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব টাঙানো, যেখানে বাল্বের নিচে পাত্র রাখা হয়। ওই পাত্রের মধ্যে ডিটারজেন্ট বা কেরোসিনমিশ্রিত পানি থাকে। আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আলোর কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়। ওই পোকামাকড় দেখে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।
আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমন ধানে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দমন করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় চুনারুঘাট উপজেলার কৃষকেরা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে সবগুলো ব্লকে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছেন এবং অক্টোবর মাস জুড়ে চলবে।
আলোক ফাঁদের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার ব্লকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজার বাজার ব্লকের এসএএও এবং উপজেলা কৃষি অফিস এর এসএপিপিও। উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে উপকারী এবং ক্ষতিকর পোকা চেনার আগ্রহ ছিল বেশ চোখে পড়ার মত।











উল্লেখ্য, ধানগাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ স্বাভাবিক হলেও ফলনের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর। ধানগাছে বাদামি ঘাসফড়িং, সবুজ ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধী পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে। এর মধ্যে বাদামি ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা সবচেয়ে ক্ষতিকর। এ পোকা যে গাছে আক্রমণ করে, সেই গাছের শিষ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে ফলন কমে যায়। অনেক সময় ফলন নেমে আসতে পারে শূন্যের কোঠায়।

সাধারণত ধানে কাইচ থোড় আসার আগে এসব পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়। আমাদের দেশে এসব পোকামাকড় মারার জন্য কৃষকেরা সাধারণত বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন। অথচ কৃষি অধিদপ্তরে (ডিএই) খবর আসে, ধান চাষে কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষকেরা কোনো সুবিধা পান না। উৎপাদন তো বাড়েই না, বরং উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, আর এর পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হয়। এ ক্ষেত্রে কৃষি অধিদপ্তরের এই আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পরিবেশ বান্ধব, কম খরচে বেশি উৎপাদন পাওয়া সম্ভব।

Comments

Popular posts from this blog

প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ ১৫.১০.১৮

বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা প্রকৃতিনির্ভর। ৭০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশে মোট উৎপাদনের প্রায় ২৪% আসে কৃষি থেকে। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ৪%। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সবুজ বিপ্লবের ফলে তথা নানারকম ফসলের জাত উন্নয়নে গত ৫০ বছরে দানাশস্যের ফলন বেড়েছে কয়েকগুণ। উচ্চফলনশীল ধান ও গমের জাতের সূচনার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। প্রযুক্তি প্রয়োগে কৃষির এই অভাবনীয় রণনৈপূন্যের ধারা অব্যহত রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা কৃষকের কাছে সর্বদা চলমান। আর এই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প এর আওতায় "কৃষক প্রশিক্ষণ" চলছে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চুনারুঘাটে। প্রশিক্ষণের বিষবস্তুর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন খামারবাড়ি হবিগঞ্জ এর অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মহোদয় জনাব মোস্তফা ইকবাল আজাদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মহোদয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিশাল এবং ...

বিশ্ব খাদ্য দিবস - ২০১৮

আজ মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব ’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষি খাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি পালন করছে। আয়োজন এর অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা কৃ...

ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত

ব্লাস্ট রোগ বাংলাদেশে ধানের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর আমন ও বোরো মৌসুমে কম-বেশি এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। ব্লাস্ট প্রতিরোধী কিছু ধানের জাত... - বোরো মৌসুমে বিআর ৩, ৬, ৭, ১২, ১৪, ১৬, ১৭, ব্রি ধান ২৮ ও ৪৫ - আউশ মৌসুমে বিআর ৩, ৬, ৭, ১২, ১৪, ১৬, ২০,২১, ২৪ - আমন মৌসুমে বিআর ৪, ৫, ১০, ব্রি ধান ৩২, ‍ব্রি ধান ৩৩, ব্রি ধান ৪৪ উৎসঃ ব্রি ওয়েবসাইট