Skip to main content

Posts

জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান || কৃষি অফিস, চুনারুঘাট

"ঘরের ইঁদুর মাঠের ইঁদুর ধ্বংশ করে অন্ন সবাই মিলে ইঁদুর মারি ফসল রক্ষার জন্য" ইঁদুর দমনের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সাধারন কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও "জাতীয় ইঁদুর নিধন অফিযান" চালানো হচ্ছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে আজকে উপজেলা কৃষি অফিস, চুনারুঘাটের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান কে অনুপ্রাণিত করতে উপজেলায় এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও র‍্যালি শেষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।  আলোচনা সভায় ইঁদুর এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়। কৃষক ভাইদের মধ্যে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব সম্পর্কে মত বিনিময় করা হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ দিক নির্দেশনামূলক এবং বাস্তব সম্মত বক্তব্য তুলে ধরেন সুনামধন্য এবং পরিশ্রমী উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন সরকার মহোদয়। এছাড়া আলোচনায় বক্তব্য তুলে ধরেন উপজেলার ভাইস চেয়ারমান আলহাজ্ব মোঃ লুৎফর রহমান মহালদার। সভায় বিশেষ বক্তব্য তুলে ধরেন খামারবাড়ি হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ)  মোস্তফা ইকবাল আজাদ স্যার। উল্লেখ্য গাজীপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া ব্লকের কৃষক ...
Recent posts

কৃষিতে ইঁদুর : সমস্যা ও সমাধান || কৃষি অফিস, চুনারুঘাট

বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনিষ্টকর মেরুদণ্ডী প্রাণী দমন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিষ্টকর প্রাণীর মধ্যে ইঁদুর মাঠ ফসল উৎপাদন ও গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের  ক্ষেত্রে একটি প্রধান সমস্যা। ইঁদুর গম ফসলে শতকরা ৩-১২ ভাগ, ধানের শতকরা ৫-৭ ভাগ ফসল নষ্ট করে। এরা বছরে ধান ও গমের প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ক্ষতি করে থাকে যার মূল্য আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকার ও বেশি। তাছাড়া ইঁদুর মুরগির খামারে গর্ত করে, খাবার খেয়ে ডিম ও ছোট মুরগি খেয়ে প্রতি বছর খামারপ্রতি প্রায় ১৮ হাজার টাকা ক্ষতি করে থাকে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গুদামজাত শস্য ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি হয়ে থাকে। ইঁদুর মাঠের দানাজাতীয়, শাকসবজি, মূল জাতীয়, ফল জাতীয় ফসলের ক্ষতি করে থাকে। আবার গুদামঘরে সংরক্ষিত ফসলেরও  মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে (প্রায় শতকরা ২০ ভাগ)। এরা যে শুধু ফসলেরই ক্ষতি করে তা নয়। বই খাতা, কাপড়, আসবাবপত্র, বিছানাপত্র ইত্যাদি কেটে নষ্ট করে। ইঁদুর প্রায় ৩০ প্রকার রোগ ছড়ায়। এছাড়া এরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সেচ নালায় গর্ত করে নষ্ট করে, অনেক সময় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র...

পরিবেশবান্ধব ইঁদুর দমন ব্যাবস্থাপনা || ডিএই, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ

ইঁদুর জাতীয় প্রাণী সম্পর্কে ধারণা পৃথিবীর সব স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে শতকরা ৪২ ভাগ ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। ইঁদুর জাতীয় প্রাণী রোডেন্টসিয়া বর্গের ও মিউরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সারা পৃথিবীতে ২৭০০টির অধিক ইঁদুর জাতীয় প্রজাতি আছে। এ প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের দাঁতের বিশেষ গঠন ও তার বিন্যাস। ১৬টি দাঁত থাকে। মাংসাশী ও পেষণ পূর্ব দাঁত নেই। তবে উভয় পাটিতে সামনে একজোড়া করে ছেদন দাঁত যা অত্যন্ত তীক্ষè ও ধারালো বাটালির মতো। ছেদন দাঁত গজানোর পর হতে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বাড়ে। কাটাকাটি না করতে পারলে দাঁত বেড়ে চুয়াল দিয়ে বেড় হয়ে যায় এবং ইঁদুরের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দাঁত ঠিক রাখার জন্য শক্ত জিনিস সর্বদা কাটাকাটি করে থাকে। ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, সজারু ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। চিকা ইঁদুর জাতীয় প্রাণী নহে। ইঁদুর সর্বভূক, নিশাচর এবং স্তন্যপায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সফল প্রাণী। এদের উপকারী ও অপকারী উভয় ভূমিকা রয়েছে। তবে ক্ষতিকারক ভূমিকাই বেশি । ইঁদুর দমনের প্রয়োজনীয়তা ১. ইঁদুর মাঠের সব প্রকার খাদ্য শস্যের ক্ষতি করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ইঁদুর ১২ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টনের অধিক খাদ...

বিশ্ব খাদ্য দিবস - ২০১৮

আজ মঙ্গলবার বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব ’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে কৃষি খাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা কর্মসূচি পালন করছে। আয়োজন এর অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা কৃ...

প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ ১৫.১০.১৮

বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা প্রকৃতিনির্ভর। ৭০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশে মোট উৎপাদনের প্রায় ২৪% আসে কৃষি থেকে। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ৪%। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো সবুজ বিপ্লবের ফলে তথা নানারকম ফসলের জাত উন্নয়নে গত ৫০ বছরে দানাশস্যের ফলন বেড়েছে কয়েকগুণ। উচ্চফলনশীল ধান ও গমের জাতের সূচনার ফলে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। প্রযুক্তি প্রয়োগে কৃষির এই অভাবনীয় রণনৈপূন্যের ধারা অব্যহত রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা কৃষকের কাছে সর্বদা চলমান। আর এই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প এর আওতায় "কৃষক প্রশিক্ষণ" চলছে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চুনারুঘাটে। প্রশিক্ষণের বিষবস্তুর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন খামারবাড়ি হবিগঞ্জ এর অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মহোদয় জনাব মোস্তফা ইকবাল আজাদ, উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মহোদয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিশাল এবং ...

আলোক ফাঁদ পরিদর্শন ১৪.১০.১৮

আলোক ফাঁদ প্রযুক্তিটি হচ্ছে রাতের বেলায় ক্ষেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব টাঙানো, যেখানে বাল্বের নিচে পাত্র রাখা হয়। ওই পাত্রের মধ্যে ডিটারজেন্ট বা কেরোসিনমিশ্রিত পানি থাকে। আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আলোর কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়। ওই পোকামাকড় দেখে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমন ধানে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দমন করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় চুনারুঘাট উপজেলার কৃষকেরা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে সবগুলো ব্লকে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছেন এবং অক্টোবর মাস জুড়ে চলবে। আলোক ফাঁদের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার ব্লকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজার বাজার ব্লকের এসএএও এবং উপজেলা কৃষি অফিস এর এসএপিপিও। উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে উপকারী এবং ক্ষতিকর পোকা চেনার আগ্রহ ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। উল্লেখ্য, ধানগাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ স্বাভাবিক হলেও ফলনের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর। ধানগাছে বা...

বিভাগীয় মাসিক সভা ও বিদায় অনুষ্টান ১৪.১০.১৮

অক্টোবর (২০১৮) মাসের বিভাগীয় মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় খামারবাড়ি, হবিগঞ্জ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত উপপরিচালক,  মোহাম্মদ আলী স্যার। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), এম এম ইলিয়াস স্যার এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ), মোস্তফা ইকবাল আজাদ স্যার।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার কৃষি অফিসারগণ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারগণ। সভায় কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচিত হয়। আলোচনা করা হয় হবিগঞ্জের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে করণীয় বিষয় নিয়ে। এছাড়া আসন্ন খাদ্য দিবস এর সফল বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করা হয়। সভা শেষে বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), এম এম ইলিয়াস  স্যার বর্তমানে উপপরিচালক হিসেবে সিলেটে যোগদান এর কারণে বিদায় গ্রহণ করেন। বিদায়ী সভায় স্যারের বিভিন্ন আবেগপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসারবৃন্দ। বিদায়ী সভায় স্মৃতিচারণ করেন বিদায়ী এম এম ইলিয়াস স্যার।