Skip to main content

GAP

প্রতি বছর আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরণের ফল এবং সবজির ফলন বেড়েই চলেছে। তাই সময় এসেছে এখন এসব সবজি এবং ফল বিদেশে রপ্তানী করার। আর এর জন্য যে জিনিসটি খুবই জরুরি তা হলো গুড এগ্রিকালচারাল প্রাকটিসেস বা গ্যাপ (GAP)। আমাদের প্রিয় উর্বর বাংলাদেশের জন্য (GAP) অনুশীলন বা বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি বাস্তবাায়ন করার জন্য যা দরকার তা হলো গার্মেন্ট সেক্টরের মতোএ ক্ষেত্রেও বিদেশীদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসা। আমরা সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করি গার্মেন্ট সেক্টর থেকে। এর কারণ বিদেশীরা তারা যেমন চান ঠিক তেমন করেই পোশাক তৈরি করে নিয়ে যান। এক্ষেত্রে তারা আমাদের দেশের পরিশ্রমী এবং মেধাবী গার্মেন্ট শ্রমিকদের যেভাবে বলেন তারাও সেভাবেই পোশাক তৈরি করে দেন। তাহলে আমাদের দেশের পরিশ্রমী কৃষকরা কেন পারবে না? অবশ্যই পারবে। আমি আমার চাকরির এই কয়েক দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে, আমাদের কৃষকরা খুবই সহজসরল এবং পরিশ্রমী। তাদেরকে ভালো করে বুঝিয়ে বললে তারা যেকোনো মডার্ন টেকনলজি খুব সহজেই গ্রহণ করে। তাদেরকে যেভাবে ফসল ফলাতে বলা হয় সেভাবেই চেষ্টা করে। এখন কথা হলো গুড এগ্রিকালচারাল প্রাকটিসেস অনুশীলনে অনেক যত্নশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে ক্রপ প্রোডাক্শনের সকল স্টেপ অনুসরণ করতে গেলে একজন কৃষকের অনেক শ্রম এবং অর্থ ব্যয় হবে। কৃষক সেই ফসল বেশি দামে কোথায় বিক্রি করবেন? তাই এমন পলেসি বের করতে হবে যাতে বিদেশীরা তাদের প্রয়োজনীয় শস্য বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষকদের দ্বারা উৎপাদন করে নিয়ে যেতে পারে। তারা কৃষকদের এক্ষেত্রে সকল ধরণের সহায়তা দিবে এবং উৎপাদিত ফসল নিয়ে যাবে। এর ফলে কৃষক লাভবান হবেন, তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, পরিবেশও ভালো থাকবে।

-
উৎসঃ কৃষি বাতায়ন 

Comments

Popular posts from this blog

অতন্দ্র জরিপ ১০.১০.১৮

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ধান ক্ষেতে রোগ এবং পোকামাকড় সনাক্তকরণের জন্য অতন্দ্র জরিপ চালানো হয় উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে। জরিপে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কৃষি অফিসের অন্যান্য অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। 

পরিবেশবান্ধব ইঁদুর দমন ব্যাবস্থাপনা || ডিএই, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ

ইঁদুর জাতীয় প্রাণী সম্পর্কে ধারণা পৃথিবীর সব স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে শতকরা ৪২ ভাগ ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। ইঁদুর জাতীয় প্রাণী রোডেন্টসিয়া বর্গের ও মিউরিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সারা পৃথিবীতে ২৭০০টির অধিক ইঁদুর জাতীয় প্রজাতি আছে। এ প্রাণীদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের দাঁতের বিশেষ গঠন ও তার বিন্যাস। ১৬টি দাঁত থাকে। মাংসাশী ও পেষণ পূর্ব দাঁত নেই। তবে উভয় পাটিতে সামনে একজোড়া করে ছেদন দাঁত যা অত্যন্ত তীক্ষè ও ধারালো বাটালির মতো। ছেদন দাঁত গজানোর পর হতে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রতিনিয়ত বাড়ে। কাটাকাটি না করতে পারলে দাঁত বেড়ে চুয়াল দিয়ে বেড় হয়ে যায় এবং ইঁদুরের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দাঁত ঠিক রাখার জন্য শক্ত জিনিস সর্বদা কাটাকাটি করে থাকে। ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, সজারু ইঁদুর জাতীয় প্রাণী। চিকা ইঁদুর জাতীয় প্রাণী নহে। ইঁদুর সর্বভূক, নিশাচর এবং স্তন্যপায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সফল প্রাণী। এদের উপকারী ও অপকারী উভয় ভূমিকা রয়েছে। তবে ক্ষতিকারক ভূমিকাই বেশি । ইঁদুর দমনের প্রয়োজনীয়তা ১. ইঁদুর মাঠের সব প্রকার খাদ্য শস্যের ক্ষতি করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ইঁদুর ১২ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টনের অধিক খাদ...

কৃষিতে ইঁদুর : সমস্যা ও সমাধান || কৃষি অফিস, চুনারুঘাট

বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনিষ্টকর মেরুদণ্ডী প্রাণী দমন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিষ্টকর প্রাণীর মধ্যে ইঁদুর মাঠ ফসল উৎপাদন ও গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের  ক্ষেত্রে একটি প্রধান সমস্যা। ইঁদুর গম ফসলে শতকরা ৩-১২ ভাগ, ধানের শতকরা ৫-৭ ভাগ ফসল নষ্ট করে। এরা বছরে ধান ও গমের প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ক্ষতি করে থাকে যার মূল্য আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকার ও বেশি। তাছাড়া ইঁদুর মুরগির খামারে গর্ত করে, খাবার খেয়ে ডিম ও ছোট মুরগি খেয়ে প্রতি বছর খামারপ্রতি প্রায় ১৮ হাজার টাকা ক্ষতি করে থাকে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গুদামজাত শস্য ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি হয়ে থাকে। ইঁদুর মাঠের দানাজাতীয়, শাকসবজি, মূল জাতীয়, ফল জাতীয় ফসলের ক্ষতি করে থাকে। আবার গুদামঘরে সংরক্ষিত ফসলেরও  মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে (প্রায় শতকরা ২০ ভাগ)। এরা যে শুধু ফসলেরই ক্ষতি করে তা নয়। বই খাতা, কাপড়, আসবাবপত্র, বিছানাপত্র ইত্যাদি কেটে নষ্ট করে। ইঁদুর প্রায় ৩০ প্রকার রোগ ছড়ায়। এছাড়া এরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সেচ নালায় গর্ত করে নষ্ট করে, অনেক সময় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র...